‘চিকিৎসকের অবহেলায়’ শেরপুরে নষ্ট হয়েছে বিপুল ওষুধ

চিকিৎসকের অনীহায় ‘অস্ত্রোপচার না হওয়ায়’ শেরপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নষ্ট হয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ সরকারি বিনামূল্যের ওষুধ।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2020, 03:00 PM
Updated : 23 March 2020, 03:00 PM

সোমবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার টাউনের গোপালবাড়ীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ওষুধ ভাণ্ডার থেকে ‘পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা মূল্যের এসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে।

শেরপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা শারমিন রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সিজার করার সব যন্ত্রপাতি থাকা সত্বেও কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) মোস্তাফিজুর রহমান এ কেন্দ্রে অস্ত্রোপচার করেন না।

“গত দুই বছরে এ কেন্দ্রে মাত্র দুইটি সিজারিয়ান হয়েছে। তিনি (মোস্তাফিজুর) সিজার করতে আসা রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। তার অবহেলা ও গাফিলতিতে এসব মূল্যবান ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে।

“এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে। রোগীরাও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় এখানে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। এতে কিছু ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরকারি নিয়মানুযায়ী শীঘ্রই নষ্ট করা হবে।

এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে সোমবার দুপুরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. পীযুষ চন্দ্র সূত্রধর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, এতে চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা ও আইনানুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ কেন্দ্রের তিনতলা ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে কেন্দ্রের ওষুধ ভাণ্ডারটি পরিচ্ছন্ন করার সময় সেখানে অব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। অ্যান্টিবায়োটিক ও গজ-ব্যান্ডেজও রয়েছে সেখানে।

এছাড়াও উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য শাড়ি ও লুঙ্গি রয়েছে এই ভাণ্ডারে।