রাজশাহীতে টিসিবির পণ্য কিনতে গায়ে গা মিশিয়ে লাইন

নভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে জনসমাবেশ এড়ানোর পরামর্শ উপেক্ষা করে টিসিবির পণ্য কিনছেন ক্রেতারা।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 09:20 AM
Updated : 22 March 2020, 09:20 AM

রাজশাহী শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে রোববার সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই চিত্র দেখা গেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে শহরের রানীবাজার মোড়েও। ক্রেতারা পিঠের সঙ্গে মিশে দাঁড়িয়ে লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন।

করোনাভাইরাস বিষয়ে ‘অবগত’ হলেও অন্য কোনো উপায় নেই বলে তাদের দাবি।

কুলসুম বেগম নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারী বলেন, “আমি সবাইকে সরে দাঁড়াতে বলছি। কিন্তু কেউ সরে দাঁড়াচ্ছে না। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে দিয়ে দাঁড়াচ্ছে।”

করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানেন বলে দাবি করেন আব্দুল মতিন নামে আরেকজন ক্রেতা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা জানি। কিন্তু পণ্য তো কিনতে হবে। আমি নিজে সচেতন হলেও অন্যরা তো সচেতন হচ্ছে না। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।”

টিসিবির পণ্য কেনার জন্য ক্রেতারা প্রতিদিন একই রকম ভিড় করেন বলে জানান বিক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস।

“প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা এই পণ্য বিক্রি করছি। প্রতিদিন একই রকম ভিড় থাকে।”

এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন এনামুল হক বলেন, জমায়েত নিষেধ করা হয়েছে। তবে লাইন ধরে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তার জানা নেই।

“বিষয়টি দেখা হবে। কোথাও লাইন ধরে দাঁড়ানোর মত পরিস্থিতি হলে মাস্ক পরে এক ফিটের বেশি দূরে দূরে দাঁড়াতে হবে।”

এদিকে রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আরও ৭৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।

তিনি বলেন, এ নিয়ে বর্তমানে রাজশাহীতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৩৮ জন। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১০ জনকে সুস্থ বলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই বিদেশফেরত।

রাজশাহীর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কাছে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে গত ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত রাজশাহীতে বিদেশফেরত আছে এক হাজার ৩০৮ জন। তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের ১২ থানায় রয়েছেন ৮১০ জন। তাদের মধ্যে শুধু বোয়ালিয়া থানার আছেন ৪০৮ জন।

তারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন কিনা তা তদারক করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।