বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনারের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন।
দণ্ডিত শাহাদত হোসেন (৩৫) দৌলতপুর উপজেলার বড় শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নূরুল হুদা রুবেল মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর দণ্ডিত খালু শাহাদত হোসেন। ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর শাহাদত এই কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশ গুম করার জন্য কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শাহাদতকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ শাহাদতকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৯ সালে ২৪ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই মোহাম্মদ আবদুল হাই। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল বিচার শুরু হয়। মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
পিপি নূরুল হুদা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তার ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।