শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করেন গুলিতে নিহত মফিজ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া। এর আগে গ্রামবাসীদের আসামি করে বিজিবিরি পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
গত ৩ মার্চ জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগরে গাছ পরিবহনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষ বাধে। এতে নিহত হন দুই ছেলে আহমদ আলী ও আলী আকবরসহ সাহাব উদ্দিন মুছা মিয়া নিহত হন। অপর নিহত আলী আকবরের শ্বশুর মফিজ মিয়া। এছাড়া বিজিবি সদস্য সিপাহী শাওনও সহকর্মীর গুলিতে মারা যান।
এ ঘটনায় আহত হানিফ নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রামবাসীর করা হত্যা মামলার কথা জানিয়ে মাটিরাঙ্গা থানার ওসি শামছুদ্দিন ভুইয়া বলেন, মামলায় একই পরিবারের তিনজনসহ চার গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগে ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) হাবিলদার মো. ইসহাক আলীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
“সাধারণ মানুষকে গুলি করার সময় বাধা দেওয়ায় বিজিবি সদস্য সিপাহী শাওন খানকে হাবিলদার ইসহাক আলী নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।”
এ মামলায় নিহত বিজিবি সদস্য শাওনকেও আসামি দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওসি শামছুদ্দিন বলেন, “হত্যা, হুমকি, অনধিকার প্রবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিসহ মোট নয়টি ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
গত ৫ মার্চ এ ঘটনায় নিহত চারজনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে ৪০ বিজিবির হাবিলদার ইসহাক আলী; যিনি গ্রামবাসীর মামলায় আসামি। এ মামলায় আরো অজ্ঞাত ৬০/৭০ জন গ্রামবাসীকে আসামি করা হয়।