বুধবার দুপুরে উপজেলার দাসেরগাঁও ও লক্ষণখোলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযানে জরিমানা ও একজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বন্দর উপজেলার মা-বাবা ব্রিক ফিল্ড মা-বাবা ব্রিক ফিল্ডের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান সাত দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে।
বন্দর উপজেলার মা-বাবা ব্রিক ফিল্ড ও লক্ষণখোলার হোম ব্রিকস ইটভাটা জরিমানা করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভাই-ভাই ব্রিকসকে জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশেই ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কোথাও কোন অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলাম জানান, গত ৪ ডিসেম্বর বন্দর উপজেলার দাশেরগাঁও-এ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধ মা-বাবা ব্রিক ফিল্ডকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে ভেঙে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
“এ নির্দেশ অমান্য করে আবার অবৈধভাবে পরিচালনার অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠান ভেকু দিয়ে ভেঙে, ফায়ার সার্ভিসের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বিশ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
“ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাশ্ববর্তী ভাই-ভাই ব্রিকসকে অবৈধভাবে মাটি ব্যবহারের অভিযোগে পাঁচ লাখ টাকা করে বলে জানান তিনি।
লক্ষণখোলায় সিটি করপোরেশন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটা পরিচালনার দায়ে হোম ব্রিকসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ ইটভাটাটি ভেঙে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সাঈদ আনোয়ার বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে চিহ্নিত করা ৭০টি অবৈধ ইটভাটাতে এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“উচ্চ আদলতের স্থগিতাদেশের কারণে আরও সাতটি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যাক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
ঢাকা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-পরিচালক সাঈদ আনোয়ার, পরিদর্শক মঈনুল হকসহ র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।