নিহত নাজিফা খাতুন (৮) জামালপুরের সরিষাবাড়ির হাবিবুল্লাহ নিপুর মেয়ে। জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সে। এলাকার গোল্ডেন বাংলা স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল নাজিফা।
আটককৃতরা হলেন নাজিফাদরে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া সোনালী বেগম ও তার স্বামী মোকসেদুর রহমান। সোনালীর বাড়িও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি এলাকায়।
এসআই এনামুল বলেন, নাজিফা বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেন। তাদের সঙ্গে খোঁজাখুঁজি করেন সোনালী আর মোকসেদুরও। শুক্রবার সকালে থানায় নিখোঁজ নাজিফার খোঁজ চেয়ে জিডি হলে পুলিশ খুঁজতে নামে।
“সন্ধ্যায় পুলিশ মোকসেদুলের বাসায় গিয়ে খাটের নিচে বস্তায় ভরা হাত-পা বাঁধা লাশ দেখতে পায়।”
এ সময় সোনালী ও মোকসেদুরকে আটক করা হয়।
সোনালীকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে এসআই এনামুল বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে সোনালী স্বীকার করেছেন, নাজিফার কানের দুটি সোনার দুলের জন্য তাকে হত্যা করেছন। হত্যার পর তার দুল দুটি সোনালী বিক্রি করে ফেলেছেন।”
আটক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি/টিকে