কুয়াশায় যশোরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন

মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের ঘন কুয়াশার কারণে নির্ধারিত সময়সূচি মেনে চলাচল করানো যাচ্ছে না যশোর বিমান বন্দরের ফ্লাইটগুলো।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2019, 08:26 AM
Updated : 22 Dec 2019, 10:58 AM

রোববার যশোর বিমান বন্দরে এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। আগের দিনও বেশ কয়েকটি ফ্লাইট কয়েক ঘণ্টা দেরিতে যশোরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া বাস ও ট্রেনও নির্ধারিত সময় মেনে চলছে না বলে খবর পাওয়া গেছে।

বেসরকারি বিমান ইউএস বাংলার যশোর বিমান বন্দর শাখার ব্যবস্থাপক সাব্বির হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোববার ও শনিবার প্রতিটি ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়।

“সকাল ৯টার দিকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট যশোর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আড়াই ঘণ্টা দেরিতে সেটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

একই অবস্থা নভোএয়ারের। সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা দেরি করে ১১টায় ছেড়ে যায়।

শনিবার বিকেলের দিকের ফ্লাইটের একই অবস্থা হয়েছিল বলে জানান তিনি।

ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার সকালে ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে চার ঘণ্টা বিমান ওঠা-নামা বন্ধ থাকে।

সেই প্রসঙ্গ টেনে যশোর বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক মাসুদুল হক বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার সকালে ঢাকা শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। কুয়াশা কিছুটা কমলে রোববার সকাল ১০টার পর প্লেন ওঠানামা শুরু হয়। যে কারণে এর ধারাবাহিকতায় যশোরে বিমানগুলো দেরিতে আসে এবং ঢাকার উদ্দেশে দেরিতে রওনা হয়।

বিমানের পাশাপাশি সড়ক পরিবহনেও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঢাকা থেকে সময় মতো কোনো বাস যশোরে এসে পৌছাচ্ছে না। যেকারণে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠছে।

রাহিন সারোয়ার নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার সময় গাবতলী থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

“দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে রাত ১১টা থেকে টানা সকাল ৯টা পর্যন্ত বসে থেকে অবশেষে বিকেল ৩টায় যশোর এসে পৌঁছেছি।”

ঘন কুয়াশার কারণে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে বলে জানান তিনি।

সশয় সুচি মেনে বাস না চলায় দূরের যাত্রীরা ট্রেন স্টেশনে ভিড় জমালেও বিড়ম্বনা থেকে ছাড় পাচ্ছেন না তারা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নোমান সিদ্দিকী জানান, সকালে তিনি ঢাকায় যাওয়ার জন্য যশোর স্টেশনে যান। এ সময় টিকিটের জন্য দীর্ঘ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও টিকিট না পেয়ে ফিরে আসেন।

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়নি উল্লেখ করে যশোর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে চলার পথে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছু দেরিতে ট্রেনগুলো গন্তব্যে যাচ্ছে।

যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য, গত কয়েকদিন ধরে যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড শীতের সাথে কুয়াশায় পুরো জেলার আকাশ আচ্ছন্ন  থাকায় শনিবার থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।