গোপালগঞ্জে ৩ হাজার শিক্ষানবিস পেল চালক সনদ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় তিন হাজার ব্যক্তি এক স্থানে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিক্ষানবিস চালকের সনদ পেয়েছেন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2019, 05:53 PM
Updated : 11 Dec 2019, 05:53 PM

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বুধবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও লাইসেন্স বিতরণ করেন।

সরকারের এই সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সনদপ্রাপ্তরা।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা চত্বরে বিআরটিএ, স্বাস্থ্য বিভাগ, ব্যাংকসহ সব বিভাগের সহযোগিতায় হেল্প ডেক্স, সত্যায়ন ডেক্স, রক্তের গ্রুপ শনাক্তকরণ বুথ, মেডিকেল বুথ, ক্যাশ কাউন্টার ও শিক্ষানবিস লাইসেন্স প্রদান বুথ স্থাপন করা হয়।  সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অবহিতকরণ ও শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন বিতরণ এবং গ্রহণ কার্যক্রমের আওতায় বিপুল সংখ্যক এই লাইসেন্স বিতরণ করা হয়।   

অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াছুর রহমান, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সনদপ্রাপ্ত গিমাডাঙ্গা গ্রামের শেখ বাবুল হোসেন খোকন বলেন, “১৫ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি, কিন্তু জটিলতার কারণে এতদিন লাইসেন্স করিনি। আজ সব সেবা এক যায়গায় পেয়ে সহজেই শিক্ষানবিস লাইসেন্স হাতে পেয়েছি। এজন্য জেলা প্রশাসনের উদ্দোগকে ধন্যবাদ জানাই।”

কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম দাড়িয়া বলেন, “জেলায় গিয়ে লাইসেন্স করতে কমপক্ষে পাঁচ দপ্তর ঘুরতে হয়। সাথে অতিরিক্ত টাকা ও সময় যায়। পড়তে হয় দালালের খপ্পরে। কোটালীপাড়ায় একদিনেই এক স্থানে আবেদন করে লাইসেন্স পেয়ে আমি খুবই খুশি।”

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, “জনবান্ধব প্রশাসন জনকল্যাণেই কাজ করবে। এই ব্রত নিয়ে আমরা সরকারের সেবাগুলো জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীতে সাড়ে তিন হাজার লাইসেন্স করে দিয়েছি। আজ টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় আরও তিন হাজার লাইসেন্স সহজে করে দিয়েছি।”

জেলা প্রশাসনের এ জনবান্ধব কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।