এক হাজারের বেশি আমগাছ ও গোলাপের এই বাগানটি পরিচর্চার দায়িত্বে এলজিইআরডি।
মুজিবনগর এলজিইআরডির সার্ভেয়ার রফিকুল হাসান লাবু বলেন, “১১০০ আমগাছের সুবিশাল বাগানটি পরিচর্চা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আছেন মাত্র একজন ঝাড়ুদার। লোকবল ও অর্থ না থাকায় মুজিবনগরের সৌন্দর্য রক্ষা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।”
বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু আমগাছ মরে গেছে।
এ সম্পর্কে সার্ভেয়ার রফিকুল বলেন, “মাঝেমধ্যে গাছের গোড়ার চর্তুদিক খুঁড়ে জৈবসার দিলে, পানি দিলে গাছগুলো তাজা থাকত। কিন্তু এ কাজের জন্য কোনো জনবল নেই।”
মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুকের বাড়ি ওই আমবাগানের পাশে।
তিনি বলেন, “মুজিবনগরে এক সময় ২১০০ আমগাছ ছিল। এখন আছে ১১০০ গাছ। বাকি গাছগুলো বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে ও মরে যাওয়ায় কেটে ফেলা হয়েছে।”
যথাযথ পরিচর্যা না হলে বাকি গাছগুলোও কালে কালে মারা যাবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, “সরকার মুজিবনগরকে জীবন্ত করতে এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। এর কাজ শিগগিরই শুরু হবে। মৃত গাছের জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। আরও নতুন গাছ লাগানো জন্য জেলা কৃষি বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
“সেখানে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের আওতায় ৪০ জন স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। এটা সম্পন্ন হলে মুজিবনগরকে সার্বক্ষণিক জীবন্ত করে রাখা সহজ হয়ে যাবে।”
এছাড়া আরও নতুন জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগরকে আরও উন্নত ও আধুনিকায়ন করতে আন্তর্জাতি কমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কবে থেকে কাজ শুরু হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।