সোমবার রংপুর মহানগর যুবলীগ নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। পরে এক সমাবেশে নেতারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাঙ্গার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান।
রোববার জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মসিউর রহমান বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদকাসক্ত নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে মিছিলে নামেন নূর হোসেন। ওই মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন।
নূর হোসেনকে নিয়ে রাঙ্গাঁর এমন মন্তব্যকে অরুচিকর বলেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর জেলা স্কুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, ১০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা যে বক্তব্য রেখেছেন, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ এই ‘অরুচিকর’ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে যুবলীগসহ আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তুষার।
তিনি আরও বলেন, “১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নূর হোসেনকে হত্যার জন্য জাতীয় সংসদে ক্ষমা চেয়েছিলেন।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি এবিএম সিরাজুম মনির বাসার, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন প্রমুখ।