ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: বিপদ কাটার পর আসছে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে উপড়ে গেছে বহু গাছ, বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। ভারী বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের ক্ষেত। অনেক জায়গায় পোল ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রন্ত হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2019, 07:05 AM
Updated : 10 Nov 2019, 10:38 AM

দমকা হাওয়ায় গাছচাপা পড়ে খুলনা ও পটুয়াখালীতে তিনজনের প্রাণ গেছে। এছাড়া বরগুনা সদর উপজেলায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৯টায় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর দ্বীপ উপকূলে আঘাত হানে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।

পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসার পর সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের কাছ দিয়ে এ ঝড় পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। তারপর রোববার ভোর ৫টার দিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছায়। বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে সকালে বুলবুল পরিণত হয় গভীর স্থল নিম্নচাপে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসিন জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তথ্য সমন্বয় করে দুপুরের দিকে তারা ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক চিত্র দিতে পারবেন।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শনিবার রাত পর্যন্ত যে ২১ লাখ মানুষকে উপকূলীয় অঞ্চলের ৫ হাজার ৫৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল, তারা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বলে অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন। 

আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

 

সাতক্ষীরা

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূল অতিক্রম করার পর সাতক্ষীরায় ঝড়ের দাপট শুরু হয় ভোর পৌনে ৪টার দিকে। প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় ভারী বর্ষণ।

সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮১ কিলোমিটার।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ঝড়ে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব অঞ্চলে মাছের ঘের ও ফসলি জমির পাশাপাশি রাস্তঘাটেরও ক্ষতি হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর আমন ধান, ১২ শ হেক্টর জমির সবজি, ৫০০ হেক্টর জমির সরিষা, ২০০ হেক্টরের কুল ও ১২০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হওয়ার তথ্য পাওয়ার কথা বলেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস।

এ জেলায় মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষকে ঝড়ের আগে আশ্রয় কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিপদ কেটে যাওয়ার পর তাদের অনেকে ফিরে যেতে শুরু করেছেন। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।

উপকূলীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল বলেন, “ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আমার ইউনিয়ন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বাতাসের তীব্রতা এত বেশি ছিলে যে অধিকাংশ গাছ উপড়ে গেছে। কাঁচা ঘর সব নষ্ট হয়ে গেছে, ঘরের টিন ও বেড়া উড়ে গেছে। চিংড়ি ঘের ও ধানের জমি পানিতে একাকার হয়ে গেছে।”

ওই এলাকার কিছু বেঁড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “নদীতে পানি বাড়ায় সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা বাঁধ মেরামত করার চেষ্টা করছি। এখন জোয়ার চলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।”

শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, তার এলাকার অধিকাংশ কাঁচা ঘর ঝড়ে নষ্ট হয়েছে। মাছের ঘের ও ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়ে কিছু এলাকায় সড়ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাছ সরিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা হলেই উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী মাসুদুল আলম বলেন, “আমার ইউনিয়নের চার হাজার ঘর ভেঙে গেছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। অনেক গাছ উপড়ে গেছে।”

রাতে ঝড়ের মধ্যে গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামে আবুল কালাম নামে ৪০ বছর বয়সী এক মাছ চাষী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “তার মৃত্যুর সাথে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

রাস্তার ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও। শ্যামনগরের খানপুর, চণ্ডিপুর, সদর, উত্তর বাঁধঘাটা, ইসমাইলপুর, হাইবাতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাছ সরাতে কাজ করছেন।

পটুয়াখালী

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দমকা হওয়ায় গাছ উপড়ে বসত ঘরের ওপর পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার রাত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন জানান।

নিহত হামেদ ফকিরের বয়স ৬৫ বছর। পেশায় তিনি ছিলেন একজন মৎস্যজীবী।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, রাতে দমকা হাওয়ার শুরু হলে একটি রেইন্ট্রি ও একটি চাম্বল গাছ উপড়ে ঘরের ওপর পড়লে চাপা পড়েন ওই বৃদ্ধ। তাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে পটুয়াখালীতে, সেই সঙ্গে দমকা বাতাস। নিরাপত্তার কারণে উপকূলীয় কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর তীরে ২৫টি ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মমিন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে সেই সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। কিছু জায়গায় বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ার এবং গাছ ভেঙে পড়ার  খবর খবর পাওয়া গেছে। 

বাগেরহাট

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ধেয়ে আসার খবরে শনিবার বিকাল থেকে জেলার শরণখোলা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলার যে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিলেন, রোববার সকালে ঝড়ের তাণ্ডব কমে আসায় তাদের অনেকে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করে।

ঝড়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।

তবে ঝড়ের প্রভাবে শনিবার রাত থেকে অবিরাম বর্ষণে জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে; তলিয়ে গেছে রোপা আমনের মাঠ। কোথাও কোথাও রাস্তা ও বাড়িঘরের আঙ্গিনায়ও পানি উঠেছে।

জেলা প্রশাসক মো মামুনুর রশীদ বলেন, “শনিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় আমাদের জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। এতে জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে প্রবল বর্ষণে মাঠে থাকা আমন ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির আশংকা করছি। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ  করতে কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

জেলার ৩৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২১ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি।

দুর্গতদের জন্য ঢেউটিন, নগদ টাকা, পর্যাপ্ত শুকনো খাবারও মজুদ রাখা হয়েছে।

এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, সুন্দরবনের কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

“সুন্দরবন না থাকলে যে রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ধেয়ে আসছিল তাতে এই দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের প্রাণহানির আশংকা ছিল। সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করেছে,” বলেন তিনি।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, ঝড়ো হাওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলেও ঝড় তীব্রতা কমে যাওয়ার পর আবার সঞ্চালন শুরু হয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ্জামান খান জানান, বলেশ্বর নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা এক থেকে দুই ফুট বেড়েছে। জেলায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও কোনো বিপদ ঘটেনি।

ভোলা

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলায় ভোর রাতে শুরু হওয়া দমকা হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টি সকালের পর কমতে শুরু করেছে।

এই দ্বীপ জেলায় ব্যাপক কোনো ক্ষয় ক্ষতির খবর না পাওয়া গেলেও চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, মনপুরা উপজেলার চর মোজাম্মেল, কলাতলির চর ও তজুমুদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিনের নিন্মাঞ্চল ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলায় ঝড়ো বাতাসে ২২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়ে ১৫ জন আহত এবং বেশকিছু গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ, ধলিগৌর নগর ও লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়ন এবং চরফ্যাসনের ওসমানগঞ্জ ও এওয়াজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।আহত কয়েকজনকে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

লালামোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর হাসান রুমি বলেন, “আমরা লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ এলাকায় গাছ পড়ে এক জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।”

লালমোহনে আহত একজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।

পিরোজপুর

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার সকাল ১১টা থেকে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে এই জেলায়। ঝড়ো বাতাসে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়াসহ কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে গেছে। বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হয়েছে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী কিছু এলাকা।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, জেলার ২২৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। গবাদী পশু রাখার জন্য ও পশুর খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পাশাপাশি সাতটি উপজেলায় একটি করে এবং জেলায় আরও একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

এছাড়াও জরুরি সেবার জন্য ১৬৯টি মেডিকেল টিম ও ১৯০০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।

বরগুনা

টানা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারি বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিদ্ধস্ত হয়ে অন্তত পাঁচজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএন কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবার রাতে অসুস্থ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান।

হালিমা আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন বলে এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন।

ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে পড়া ছাড়াও রোপা আমন ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীর অন্তত ১০টি পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢোকার খবরও পাওয়া গেছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, পাঁচ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ নিরাপদে রয়েছে। তাদেরকে খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।