সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসাইন সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
জেলা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর সড়কে অধ্যক্ষের দোতালা একটি বাড়ি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই বাড়ির নিচতলায় জামায়াতের নারী সদস্যদের আস্তানা ছিল।
“ওখান থেকে তারা মেয়েদের সংগঠিত এবং নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১৩ নারী ও অধ্যক্ষ আনোয়ারকে আটক করা হয়।”
পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, “প্রাথমিকভাবে যেটা জানতে পেয়েছি, আনোয়ার মূলত জামায়াত বা কোনো জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করছিলেন। তবে নিজেকে তিনি ওলামালীগ নেতা দাবি করেন বলে জানা গেছে। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।”
ওই বাড়িতে জিহাদি বই পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, “তার কাছে কোরআনের তাফসির, বুখারি-মুসলিমসহ বিভিন্ন সংকলিত হাদিসের বইসহ মুসলমান হিসেবে ইসলামিক বই-পুস্তক থাকাটাই স্বাভাবিক। এগুলোকে জিহাদি বই বলে চালানোর অপচেষ্টা নিতান্তই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
আনোয়ার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িত নন দাবি করেন ইকবাল বলেন, “আনোয়ার ওই মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিলেন। পরে ওলামা লীগের নেতা হওয়ায় তাকে অধ্যক্ষ করা হয়।”