তিনি বলেন, “আমার ছেলের জন্য সব ছেলে রাজপথে নেমেছে। এখন সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ওরাই আমার ছেলে। আমি ওদের নিরাপত্তা চাই।
“ওদের ওপর যেন কোনো অত্যাচার না হয়। এক ছেলেকে হারিয়েছি। আর কোনো ছেলেকে হারাতে চাই না। আমি চাই না আমার মত আর কোনো মায়ের বুক খালি হয়।“
জেলার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার বাদ জুমা এই কুলখানি হয়। এতে তাদের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, গ্রামবাসী অংশ নেয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জজ। তিনি আবরারের দাদা আব্দুল গফুর, বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুনকে সমবেদনা জানান।
দাদা গফুর সংসদ সদস্যকে বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সেলিম আলতাফ জর্জের দাদা গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছিলেন।
সে সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ সংসদ সদস্যকে বলেন, তার ছোট ছেলে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবরার ফায়াজ ঢাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় পড়তে যেতে চাচ্ছে না।
সাংসদ সেলিম তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ফায়াজকে ঢাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পড়ালেখা সম্পন্ন করার সব ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি।