বর্তমানে ১৬টি ফেরির মধ্যে মাত্র পাঁচটি চলছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটের কারণে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ছোট আকারের ফেরি ফরিদপুর, ফেরি কুমিল্লা ও মাঝারি আকারের ফেরি ক্যামেলিয়া দিয়ে যান পারাপার শুরু করা হয়। দুপুরের দিকে রেরো ফেরি শাহ মখদুম ও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর দিয়ে পারাপার চলছে।
একই কারণে এর আগে সোমবার রাতে ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ছোট দুটি ও পরে আরও একটি ফেরিতে জরুরি কিছু যান পার করা হয়।
তিনি বলেন, বাতাসের তীব্রতায় পদ্মায় আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ, প্রচণ্ড গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণায়মান স্রোত।
“এখন পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ৪০ হাজার ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৈরী পরিস্থিতিতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে পদ্মা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। তার ওপর আছে নাব্য সংকট। এর মধ্যে চলতে গিয়ে ফেরিগুলো মাঝে মাঝেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেরিগুলো কুলিয়ে উঠতে না পারায় ফেরি থেকে যানবাহন পড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট ফেরি দিয়ে কম লোডের যান পার করা হচ্ছে। আর দুটি রো রো ফেরি চালাচল করলেও পুরোপুরি লোড নিতে পারছে না।”
ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চাপ পড়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোটে। লঞ্চ ও স্পিডবোটগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএর নৌপরিদর্শক মো. সোলেমান।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, “ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের কারণে নানা সমস্যা হচ্ছে। তবে সিরিয়ালি রাখা হয়েছে। এই লাইন টার্মিনাল ছাপিয়ে মহাসড়কে চলে গেছে। অপেক্ষমাণ যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।”