জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন বলেন, ”সোমবার বেলা ১২টার দিকে সুলতানগঞ্জ হাটের একটি চায়ের দোকানের সামনে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলকে (৪০) চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়।”
আহত জিয়াউলকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জিয়াউল বলেন, তিনি দোকানে চা খাওয়ার সময় বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল আলম হিরু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার টিক্কা দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করেন।
“সুজাবাদ এলাকায় ইয়ন গ্রুপের কীটনাশক ওষুধ কারখানা থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে প্লাস্টিক বস্তা নিয়ে ব্যবসার করছি আমি। বেশ কিছুদিন ধরে হিরু ও টিক্কা আমার ব্যবসার ভাগ চায়। তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাকে কুপিয়েছে।”
আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদুল আলম কোপানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেও মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
হিরু বলেন, “কিছুদিন আগে ইয়ন গ্রুপের টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জুয়েল এসে হঠাৎ আমাকে মারধর করে। ওই ঘটনায় সুলতানগঞ্জ হাটে জুয়েলকে দেখে সেদিনের মারার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আবারও জুয়েল আমাকে মারধর করে। এ কারণে তাকে পাল্টা কিলঘুসি মারা হয়েছে। তাকে কোপানো হয়নি।”
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান শাহীন বলেন, “দ্বন্দ্ব যা নিয়েই হোক, এভাবে কোপানো ঠিক হয়নি। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।”
এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”