এই চারজনের মধ্যে মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯) এ মামলার তিন নম্বর আসামি। বাকি তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। আদালত তাদের সবার মালামাল জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল তিন দিন আগে।
রোববার সকালে তারা বরগুনার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে।
শুনানি শেষে এ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আসামি মোহাইমিনুলের জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক তিনজনের জামিন আবেদন শুনানির জন্য শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানও অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চারজনের পক্ষেই জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের।
গত ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।
ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়।
কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান মিন্নি। আর হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
তদন্ত শেষে পুলিশ যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত গত ১৮ সেপ্টেম্বর পলাতক নয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
নয়জনের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন গত ২ অক্টোবর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন। আরও চারজন রোববার আত্মসমর্পণ করার পর চার আসামি এখনও পলাতক থাকলেন।