রিফাত হত্যা: অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির জামিন

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের এক আসামিকে জামিন দিয়েছে আদালত।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2019, 04:35 PM
Updated : 4 Sept 2019, 04:55 PM

বুধবার বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান অপ্রাপ্তবয়স্ক এই আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

আসামির আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, এদিন দুজনের জামিন আবেদন করা হয়। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে জামিন দেয় আদালত।

রিফাত হত্যা মামলায় বরগুনার আদালত থেকে এই প্রথম কোনো আসামির জামিন দেওয়া হলো। এর আগে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

আইনজীবী মোস্তফা জানান, আদালত বলেছে জামিনে বেরিয়ে আসামি গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না এবং তার পরিবারের সদস্যরাও গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে পারবেন না।

গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নামে মামলা করেন।

গত রোববার বরগুনা হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির।

সেখানে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে রিফাত ফরাজীকে, যিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে।

আর মামলার এজাহারের ১ নম্বর আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তার নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। 

অভিযোগপত্রের ২৪ আসামির মধ্যে নয়জন পলাতক, বাকি ১৫ জন কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশের দেওয়া দুই খণ্ডের অভিযোগপত্রের এক খণ্ডে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য খণ্ডে আসামি ১৪ জন, তাদের সবাই অপ্রাপ্তবয়স্ক।

বুধবার জামিন পাওয়া আসামি রয়েছেন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের তালিকায়। তাকে গত ১ জুলাই গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং ৮ জুলাই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে যশোর শিশু সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক দশ আসামি হলেন- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচার হবে শিশু আদালতে। অন্যদের নিয়মিত আদালতে বিচার হবে।