গাজীপুরে কিশোর খুন: গ্রেপ্তার ৬, চাপাতি উদ্ধার

গাজীপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে কিশোরকে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে রব।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2019, 12:26 PM
Updated : 12 Sept 2019, 12:38 PM

বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার এবং খুনের কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

গ্রেপ্তারদের তিনজন হলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সুরাটির বাদল মিয়ার ছেলে রাসেল (১৮), গাজীপুরের শ্রীপুরের নতুন পটকার মনু মিয়ার ছেলে মো. সৌরভ (২১) এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডালবাড়ির মো. খায়রুল শেখের ছেলে আমির হামজা (১৯)।

অপর তিনজনের বয়স ১৭ বছর। তাদের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জের বনগ্রাম, গাজীপুর সদরের জামতলা এবং সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের জুগনিদেই।

গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে মহানগরীরর ভাওয়াল রাজদীঘির পাড়ে কিশোর নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুকে চাপাতি ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে খুন করে কয়েকজন কিশোর-তরুণ।

র‌্যাব-১ এর পোড়বাড়ি ক্যাম্পের ইনচার্জ কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সিনিয়রিটি দ্বন্দ্বে নুরুল ইসলামকে খুন করেছে কিশোর গ্যাংগয়ের কয়েকজন সদস্য। বুধবার গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় এবং খুনে ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি, তিনটি চাকু, পাঁচটি মোবাইল ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তররা নুরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে মামুন জানান। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কমান্ডার মামুন বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাংগ রয়েছে। সিনিয়র গ্রুপের সদস্যকে ‘তুই’ বলে সম্মোধন করাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি বলেন, ঘটনার দুই দিন আগে নুরুল ইসলামের ‘দীঘিরপাড়’ গ্রুপের ৬/৭ জন সদস্য স্থানীয় বালুর মাঠ এলাকায় আড্ডা দেওয়ার সময় একই এলাকার রাসেলের ‘ভাই-ব্রাদারম’ গ্রুপের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। জুনিয়র গ্রুপের কাছে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় রাসেলের ‘ভাই-ব্রাদারস’ গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

“এর জের ধরে ঘটনার দিন ‘ভাই-ব্রাদারস’ গ্রুপের ১০/১২ জন মিলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ‘দীঘিরপাড়’ গ্রুপের উপর চড়াও হয়। এ সময় ভিকটিম নুরু তাদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পাশের পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। তখন ‘ভাই-ব্রাদারস’ গ্রুপের সদস্যরা অন্যদের ধরতে না পেরে নুরুকে পুকুর থেকে তুলে ধারালো চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।”