বৃহস্পতিবার নীলকান্ত রায় (৫৫) নামের ওই শিক্ষককে থানায় সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
নীলকান্ত রায় আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাট এলাকার মৃত বষন্ত কুমারের ছেলে এবং উপজেলার বুড়িরদিঘি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বুড়িরদিঘী আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৯) ক্লাশ শুরুর আগে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করতে ডেকে নেন নীলকান্ত রায়। এ সময় ওই শ্রেণিকক্ষে কোনো শিক্ষার্থী ছিল না।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান মোরশেদ বলেন, “শ্রেণিকক্ষে কেউ না থাকার সুযোগে নীলকান্ত ওই ছাত্রীকে বেঞ্চে শুয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।”
তিনি বলেন, পরে ছাত্রীর চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এসে হাতেনাতে নীলকান্তকে আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নীলকান্ত রায়কে থানায় নিয়ে যায়।
আশরাফুজ্জামান মোরশেদ আরও বলেন, ২০০৪ সালে একই অভিযোগে নীলকান্ত রায় হাজতবাস করেছিলেন; যার কারণে সাময়িক বরখাস্ত থাকার পরে সম্প্রতি আদালতে রায়ে তার বরখাস্ত আদেশ বাতিল করা হয়।
“এরপরেও তিনি চারিত্রিকভাবে নিজেকে সংশোধন করতে পারেননি। আবার একই অভিযোগে শিক্ষার্থীরাই তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হরে কৃষ্ণ রায়ের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হরে কৃঞ্চ রায় বলেন, “খবর পেয়ে আমরা বিদ্যালয়ে গমন করি এবং ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজকেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।”
আদিতমারী থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নীলকান্ত রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আগামীকাল সকালে তাকে কোর্টে পাঠানো হবে।