পৌর এলাকার হাতিল মাগণীপাড়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
তৃতীয় শ্রেণির এসব শিক্ষার্থীদের জয়পুরহাট জেলা আধুানিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো মুনিকা, তানিম, আরশি, রাজিয়া, বেবী, সুমাইয়া, নুশরাত ও কনিকা। তাদের সবার বাড়ি পৌর শহরের বুলুপাড়া ও হাতিল হাজিপাড়ায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফরিনা খাতুন বলেন, স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুশরাত এক সপ্তাহ আগে এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে এক প্যাকেট ‘নকল’ হজমের ইনো পাউডার কিনেছিল।
“শনিবার নুশরাতসহ আট শিক্ষার্থী স্কুলে দুপুরে টিফিনের সময় ওই ইনো পাউডার পানিতে মিশিয়ে পান করে। পরে ক্লাস শুরু হলে তারা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে।”
তিনি বলেন, এ সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের প্রচুর পানি ও বমি করানো হয়, তারপরও অবস্থার অবনতি হলে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা মিলে বিকালে তাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুল হক রয়েল বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর বর্তমানে তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ধরঞ্জী ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি বলেন, তারা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে নকল ইনো থেকে শুরু করে খাবার স্যালাইন, অরেঞ্জ জুসসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরি করছে। জানা মতে তাদের কোনো লাইসেন্স নেই এবং ফ্যাক্টারি এলাকায় কোনো ব্যক্তিকে তারা যেতে দেয় না।
টিএসবি প্রোডাক্টস্ এর স্বত্বাধিকারী মাহবুব আলম বলেন, “রেজিস্ট্রেশনের কাগজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে এবং আমার প্যাকেটের গায়ে ১২ বছরের নিচে ইনো খাওয়া যাবে না বলে লেখা আছে।”
তিন মাস ধরে এর প্রোডাকসন বন্ধ আছে বলেও তিনি দাবি করছেন।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন বলেন, “ব্যাপারটি শুনলাম। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”