কলকাতায় গ্রেপ্তার ‘জঙ্গি’ আলামিনকে খুঁজছিল পুলিশ

কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চার ‘নব্য জেএমবি’ সদস্যের একজনকে গত একবছর ধরে বাংলাদেশে খোঁজা হচ্ছিল বলে রাজশাহী পুলিশ জানিয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2019, 01:10 PM
Updated : 26 June 2019, 01:10 PM

শাহীন আলম ওরফে আলামিন (২৩) নামের ওই যুবক রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার বুজরুক রাজারামপুর গ্রামের রিকশাচালক রফিকুল ইসলামের ছেলে বলে গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার কলকাতার শিয়ালদা ও হাওড়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে পুলিশের টাস্কফোর্স সন্দেহেভাজন চার নব্য জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।  এদের মধে্যে তিনজন বাংলাদেশি; এবজন ভারতীয়।

এরা হলেন মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন (৪৪), মামুনুর রশিদ (৩৩), মোহাম্মদ শাহীন আলম ওরফে আলামিন (২৩) ও রবিউল ইসলাম (৩৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, আলামিন গোদাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও গোদাগাড়ী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৭ সালে বুজরুক রাজারামপুর গ্রামের আমিজুল ইসলাম রনি পুলিশের উপর হামলা চালান। রনি পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

“এই আমিজুল ইসলাম রনির সঙ্গে আলামিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।”

আলামিনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তার বাড়িতে কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি, বলেন ওসি।

আলামিনের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের জুন মাসে পুলিশ আলামিনকে আটক করতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ আলামিনের ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর ও বইপত্র নিয়ে যায়।

“এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। প্রায় এক বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে শাহিনের কোনো যোগাযোগ নেই।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে লেখাপড়া করার সময় আলামিন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল বলে ধারণা তার বাবার।

ভারতীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেপ্তার করা হয় শিয়ালদা স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে হাওড়া স্টেশন থেকে আলামিন ও রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, উগ্রবাদী প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা এবং ডিজিটাল নথি পাওয়া গেছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর হয়, পষ্চিমবঙ্গসহ ভারতের নানা প্রান্ত থেকে টাকা সংগ্রহ করে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হত। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও জেহাদি কার্যকলাপ চালাত তারা।