কলকাতায় ‘৩ বাংলাদেশিসহ নব্য জেএমবির ৪ সদস্য’ গ্রেপ্তার

কলকাতার পুলিশ নিষিদ্ধ জঙ্গি দল নব্য জেএমবির সন্দেহভাজন চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 02:03 PM
Updated : 25 June 2019, 02:18 PM

এনডিটিভি জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) মঙ্গলবার শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন এলাকা ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন (৪৪), মামুনুর রশিদ (৩৩), মোহাম্মদ শাহীন আলম ওরফে আলামিন (২৩) এবং রবিউল ইসলাম (৩৫)।

এসটিএফ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওই তিনজনের মধ্যে মহসিন, মামুন ও আলামিন বাংলাদেশের নাগরিক। আর রবিউলের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নয়াগ্রামে।

ছবি: আনন্দবাজার

তবে বাংলাদেশের পুলিশ ওই তিনজনের জাতীয়তার বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি সানোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের হাতে কোনো তথ্য নেই।”

ভারতীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেপ্তার করা হয় শিয়ালদা স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে হাওড়া স্টেশন থেকে আলামিন ও রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আনন্দবাজার লিখেছে, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, উগ্রবাদী প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা এবং ডিজিটাল নথি পাওয়া গেছে।

 “পুলিশ জানতে পেরেছে, এ রাজ্যসহ (পশ্চিমবঙ্গ) দেশের (ভারত) নানা প্রান্ত থেকে টাকা সংগ্রহ করে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হত। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও জেহাদি কার্যকলাপ চালাত তারা।”

আদালতে হাজির করে ওই চারজনকে রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে এসটিএফ কর্মকর্তা শুভঙ্কর সিংহ আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন। 

পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গি দমন অভিযানের কারণে নব্য জেএমবির ওই সদস্যরা পালিয়ে ভারতে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। তারা আবার বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা করলেও  তার আগেই তারা ধরা পড়ে।

এনডিটিভি লিখেছে, ভারতীয় নাগরিক রবিউলও নব্য-জেএমবির সদস্য। তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি দলের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহের কাজে সহায়তা করেছিলেন।

২০০৬ সালের অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হওয়ার পর এর সঙ্গে জেএমবির নাম জোরেশোরে উচ্চরিত হতে থাকে। এরপর বাংলাদেশের পুলিশ ও ভারতের গোয়েন্দারা জঙ্গি দমনে তথ্য বিনিময় শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় দুই দেশে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ধরাও পড়ে।

গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস  প্রথমবারের মতো ভারতে একটি ‘প্রদেশ’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানালে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাদের সতর্কতা ও নজরদারি জোরদার করেন।