এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানা হয় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের (৫৫)।
এই মামলার ওয়ারেন্ট ফরিদগঞ্জ থানায় এলে গত শুক্রবার দুপুরে এএসআই মাজেদ রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমুঘুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে (৪০) দণ্ডিত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করেন।
একইদিন বিকালে আনোয়ারা বেগমকে চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
এদিকে, ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ আটককৃত আনোয়ারা বেগম সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ারা বেগম নয় মর্মে শনিবার চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামাল হোসেনের আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে আদালতে নিরপরাধ আনোয়ারা বেগমকে দ্রুত মুক্তির আদেশ দেয়।
আনোয়ারা বেগমের মামাত ভাই বেলাল হোসেন বলেন, পুলিশ আসামির নাম ও ঠিকানা নিশ্চিত না হয়ে তার বোনকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে। ফলে কোনো অপরাধ না করেও তাকে ২৪ ঘণ্টা কারা ভোগ করতে হয়েছে।
আনোয়ারা বেগমের আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত ইকরাম বলেন, শনিবার আদালত আনোয়ারা বেগম মুন্সীগঞ্জ জেলার ওই মামলার আসামি নয় বলে পুলিশের রিপোর্ট পেয়ে তাকে দ্রুত মুক্তিদানের আদেশ দেয়।
“শনিবার বিকালে তাকে কারাগর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
চাঁদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মাইনুদ্দিন ভূইয়া বলেন, শনিবার আদালতের মুক্তিনামা হাতে পাওয়ার পরে আনোয়ারা বেগমকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নামের ও স্বামীর নামের সঙ্গে মিল থাকার কারণে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে নিরীহ নারীকে আটকের ঘটনায় শনিবার চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই মাজেদকে প্রত্যাহার করে চাঁদপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব বলেন, এএসআই মাজেদকে ইতিমধ্যেই সিসি দেওয়া হয়েছে। এই আনোয়ারা বেগম আসামি আনোয়ারা বেগম নন- এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে।