এটি রাজা সীতারাম রায়ের পালঙ্ক এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে নিচতলার মালখানায় অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে খোলা অবস্থায় পুরনো একটি পালঙ্ক দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক আলী আকবর বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে এই পালঙ্কটি জেলা প্রশাসকের বাসভবনের স্টোর রুমে পড়ে আছে বলে পুরাতন কর্মচারীদের কাছে জেনেছি। আগের জেলা প্রশাসকরা এটি যেভাবে পেয়েছেন আমিও সেভাবেই পেয়েছি।
“আগে যেভাবে সংরক্ষিত ছিল এখনও সেভাবে আছে। আমি এতে ঘুমাই না। আমি স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই ফ্লোরে ঘুমাতে পছন্দ করি। যে কেউ দেখলে বুঝবে এতে ঘুমানোর অবস্থা নেই। এটি ব্যবহারের অনুপযোগী। ডিসি কেন, কোনো মানুষেরই এতে ঘুমানোর অবস্থা নেই। বর্তমান জামানায় এ ধরনের পালঙ্ক তেমন কেউ ব্যবহার করেন বলেও মনে হয় না।”
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেসব মিডিয়ায় খবর এসেছে তার সাংবাদিকরা তো ডিসির বেডরুমে যাননি। তাহলে তারা কিভাবে নিশ্চিত হলেন ডিসি কিসে ঘুমান? অতি উৎসাহী কোনো পক্ষ হীনস্বার্থে এ রকম একটি অনিশ্চিত বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
“এটি রাজা সীতারাম রায়ের পালঙ্ক—পত্রিকায় সংবাদ দেখে আমি প্রথম জানলাম। শুক্রবার এ সংক্রান্ত নথিপত্র আমি অনুসন্ধান করেছি। এটি অতীতে ট্রেজারি কিংবা রেকর্ড রুমে ছিল সে রকম কোনো তথ্য পাইনি। কিংবা এটি যে রাজা সীতারাম রায়ের পালঙ্ক সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য কেউ দিতে পারেনি।”
শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ষোড়শ শতাব্দীতে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় ভুষণা রাজ্যের রাজা সীতারাম রায় এই পালঙ্কে ঘুমাতেন। মাগুরার মহম্মদপুর ছিল এই রাজ্যের রাজধানী। রাজার পালঙ্কটি দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের সুবিধার জন্য এটি ট্রেজারি থেকে কখনও রেকর্ড রুমে, কখনও জিম্মাখানায়, অবার কখনও ডিসির বাঙলোয় স্টোর রুমে অন্য অব্যবহৃত উপকরণের পাশে জায়গা পেয়েছে।
অনুসন্ধানে এই খবরের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি।
মাগুরার এনডিসি রাজিব চৌধুরী বলেন, “পালঙ্কটি রেকর্ড রুমে ছিল কিনা আমার জানা নেই। এটি আমি জেলা প্রশাসকের স্টোর রুমে দেখেছি। এটি ব্যবহারের উপযোগী নয়।”