তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও বাম হাতের নিচে বিদ্যুতের তারে পোড়া দাগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরিবার একে হত্যাকাণ্ড দাবি করে বিচার চেয়েছে।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী বলেন, সোমবার সকালে সাইদুল ইসলাম (২২) নামে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাইদুল ইসলাম উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের জামরুল ইসলামের ছেলে। একই গ্রামের তহির উদ্দিনের লিচুবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি মহসীন পরিবারের বরাতে বলেন, সাইদুল রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে না আসায় তার স্ত্রী সিমা খাতুন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। গভীর রাতে বাড়ির পাশে তহির উদ্দিনের লিচুবাগানে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
“তহির উদ্দিনের কাছে থেকে তার ভাতিজা আবু সুফিয়ান ওই বাগান লিজ নিয়েছেন। বাদুড় ঠেকানোর জন্য সুফিয়ান বিদ্যুতের ফাঁদ তৈরি করেন। ওই ফাঁদে আটকে সাইদুল নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।”
বাঘা থানার এসআই মুঞ্জুরুল ইসলাম লাশের সুরতাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, “সাইদুলের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও বাম হাতের নিচে বিদ্যুতের তারে পোড়া দাগ রয়েছে। লাশের পাশে কিছু লিচু, একটি মোবাইল ফোন, একটি গ্যাস লাইট ও কিছু বিড়ি পড়ে ছিল। পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করেছে।”
এদিকে নিহত সাইদুল ইসলামের মামা রেজাউল ইসলাম দাবি করেছে, “তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
ওসি মহসীন আলী বলেন, “সাইদুল ইসলামের মামা আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লিচুবাগানের মালিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তারা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।