টাঙ্গাইলে পুলিশের বিরুদ্ধে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

টাঙ্গাইলে তাসের আড্ডায় অভিযান চালিয়ে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হতার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2019, 05:52 PM
Updated : 24 May 2019, 05:52 PM

নিহত আব্দুল হাকিম (৫০) জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, শুক্রবার বিকেলে ঝাওয়াইল টেকটিক্যাল কলেজ মাঠে তাসের আড্ডায় পুলিশ এই অভিযান চালায়। পুলিশ এ সময় চারজনকে আটক করে; আরও দুইজন দৌড়ে পালায়।

পুলিশ মারধরের কথা স্বীকার করেনি।

তবে ঝাওয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ সরকার অভিযোগ করেন, “পুলিশ একটি মাইক্রোবাস নিয়ে সাদা পোশাকে সেখানে গিয়ে তাদের সবাইকে ধরে মারধর করে।

“হাকিম এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ধরে বেদম মারধর করে পুলিশ। এতে সে অসুস্থ হয়ে ঢলে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে ফেলে চারজনকে নিয়ে চলে যায়।”

পরে তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হারুন অর রশিদ মৃত ঘোষণা করেন।

ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে হাকিমকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখি।

“কয়েকজন মিলে তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক হারুন অর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই চিকিৎসক জানান, সে অনেক আগেই মার গেছে।”

এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করে পুলিশকে দায়ী করে শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দিয়েছে।

তবে পুলিশ মারধরের কথা স্বীকার করেনি।

ওসি হাসান বলেন, “কিছু লোক টাকার বিনিময়ে তাস খেলছে বলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।

“এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। কিন্তু দুইজন দৌড়ে পালায়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর কারণ।”

আটকৃকতরা হলেন ওই এলাকার সুরুজ্জামান, রিপন রায়, হারাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও গৌরাঙ্গ রায়।

এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার পুলিশ দোষী হলে ছাড় দেওয়া হবে না।”