বগুড়ায় উপ-নির্বাচনে ৯ মনোনয়নপত্র দাখিল

বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে নয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2019, 04:19 PM
Updated : 23 May 2019, 04:19 PM

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার শেষদিনে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টি জামান নিকেতা, বিএনপি মনোনীত তিনজন- জেলা আহবায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বগুড়া পৌর মেয়র মাহবুবর রহমান, সাবেক জেলা সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর, বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের মনসুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মুফতি রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র সাবেক জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু এবং স্বতন্ত্র মো. মিনহাজ।

বগুড়া জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মনোনীতরা নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিএনপি থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনকে মনোয়নপত্র উঠিয়ে জমা দিতে বললেও তিনজন জমা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি; এবং সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন ব্যক্তিগত কারণে জমা দেবে না বলে জানান।  

গত মঙ্গলবার (২১ মে) দলের হাই কমান্ডের বার্তা পেয়ে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া এবং দলের পাঁচজনকে মনোনয়নপত্র তুলে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছিল।  

আওয়ামী লীগের টি জামান নিকেতা মনোয়নপত্র দাখিলের পর বলেন, বগুড়া সদর আসনে বিএনপি বারবার বহিরাগতদের মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচিত করায় বগুড়ার জনগণ তাদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে যেতে পারেনি এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেলেও তিনি শপথ না নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

তাই এই আসনের জনগণ সব ভুলে এবার নৌকায় ভোট দেবেন বলে তার প্রত্যাশা।

বিএনপি প্রার্থী জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, “কৌশলগত কারণে উপ-নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনা, গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”

খালেদা জিয়া মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেননি কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মনোনয়নের সময় স্কাইপেতে যখন তারেক রহমানের সাথে কথা হয়, তখন বেগম জিয়ার বিষয়টি তিনি [তারেক] বলেননি। আমরাই যখন দাবি উঠাই তাকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা। তখন তিনি বলেন- ঠিক আছে আপনাদের সন্তুষ্টির জন্য মনোনয়ন ওঠাতে পারেন।”

এ কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র উঠানো হয়েছিল। তাবে তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়নি বলে সিরাজ জানান।

অপর চার জনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন কেন জমা দিলেন না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে; তিনি হয়তো জমা দেবেন।

এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন চাঁন বলেন, “দল মনোনয়ন দিয়েছিল; কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে মনোনয়নপত্র জমা দিব না।”

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর এলাকার বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য হলে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ জুন এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।