বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, শেরপুর উপজেলার শেরপুর-ধুনট সড়কের কাছে বোয়ালকান্দি ব্রিজের কাছে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিউর রহমান জ্যোতির (৫৫) বাড়ি ধুনট থানার প্রতাপ খাদুলি গ্রামের মোজাফফর আলীর ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জ্যোতির বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ১৯৮৭ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর থানা লুটের মামলায় তার ৮৪ বছরের সাজা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা দলের এ আঞ্চলিক নেতা আত্মগোপনে ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
অভিযোনের বর্ণনায় তিনি বলেন, বোয়ালকান্দি ব্রিজের কাছে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
“পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জ্যোতিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, গুলি, একটি রামদা ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
ধুনট উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরাফুজ্জামান পাশা জানান, জ্যোতি ৯০ দশকের দিকে সরকারি সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে সর্বহারা পার্টি থেকে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। তিনি ধুনট উপজেলার বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দলের কর্মী হিসেবে প্রকাশ্যে কাজ করে আসছিল।