‘মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায়’ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ‘স্বামীকে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায়’ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2019, 12:33 PM
Updated : 11 April 2019, 12:33 PM

বৃহস্পতিবার উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের তালবাড়ী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত প্রিয়া বিশ্বাস (১৯) খুলনা নগরের টুটপাড়ার আশিস বিশ্বাসের মেয়ে এবং মুকসুদপুরের তালবাড়ী গ্রামের সুকুমার মন্ডলের ছেলে সঞ্জয় মন্ডলের (২৩) স্ত্রী।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সঞ্জয় মন্ডলের সঙ্গে প্রিয়ার বিয়ে হয় দুই বছর আগে। বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকে সঞ্জয়ের চাকরির কারণে (জাহাজের ওয়েল্ডিং) তারা স্বামী-স্ত্রী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। 

সঞ্জয় প্রায়ই নেশা করে বাসায় ফিরতেন। স্ত্রী তাকে মাদক সেবনে নিষেধ করতেন। মাঝেমধ্যে সঞ্জয় বাড়িতে বসেও মাদক সেবন করতেন এবং এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।

প্রিয়ার মা বেলেকা বিশ্বাস বলেন, “বুধবার রাত ৮টার দিকে আমার মেয়ে প্রিয়া মোবাইলে বলে সে আর বাঁচবে না। এ সময় আমার মেয়ের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় জামাই সঞ্জয় মন্ডল। এরপর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।”

বৃহস্পতিবার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি তার শ্বশুরবাড়ি তালবাড়ী গ্রামে যান উল্লেখ করে বলেন, “আমার মেয়েকে জামাই হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।” 

নিহতের মামা পূর্ণ শিকদার বলেন, “মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায়  নেশাখোর ভাগ্নি জামাই সঞ্জয় আমার ভাগ্নিকে হত্যা করেছে। মাদকের হাত থেকে সঞ্জয়কে রক্ষা করতে আমার ভাগ্নি চেষ্টা করেছে; কিন্তু পারেনি।” 

সঞ্জয় মন্ডল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “মাদক সেবন নিয়ে স্ত্রীর সাথে আমার বিরোধ চলছিল। একারণে অভিমানে হয়তো আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করিনি।”

মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মহিদুল ইসলাম বলেন, “হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তারপরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”