শনিবার টাঙ্গাইলে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে ‘পরিবেশ পুলিশ’ গঠনের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। যদিও পরিবেশ অধিদপ্তর সরকারের আলাদা একটি সংস্থা। তাদের নিজস্ব গতিতে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
“পরিবেশ যেখানে বিঘ্নিত হয় সেখানে তারা আইন প্রয়োগ করে থাকেন। সত্যিকার অর্থে যদি পরিবেশ রক্ষা করতে হয়, তাহলে পরিবেশ পুলিশের প্রয়োজন আছে।”
যত্রতত্র রাস্তার আশপাশে গড়ে ওঠা ইটভাটায় পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের সময় ৮-১০টা ইটের ভাটা চোখে পড়ে। ইটের ভাটাগুলো যেভাবে মাটির টপসয়েল নষ্ট করে জমির উর্বরতা কমাচ্ছে তাতেও আশেপাশের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
বিশেষ করে কৃষিজমিতে কৃষিপণ্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে; ইটভাটার ধোঁয়ায় মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
“এসব সমস্যা সমাধানে পরিবেশ অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত জনবল আছে কিনা সেটা আমার জানা নাই। তবে এসব সমস্যা দেখভাল করার জন্য যদি ‘পরিবেশ পুলিশ’ থাকত, তাহলে আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারতাম।”
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নদী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাসহ আশপাশের নদীগুলোর পানিকে আর পানি বলা যায় না। বুড়িগঙ্গার পানির রঙ ও দুর্গন্ধের কারণে নদীর কাছে যেতে ইচ্ছে করে না।
উন্নত দেশে নদী সংরক্ষণ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের দেশেও নদী সংরক্ষণ করা সম্ভব। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। যারা নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন, তাদের নিষেধ করতে হবে। নদীকে সংস্কার করে যেভাবে ব্যবহার করা উচিত, যেভাবে ব্যবহার করলে পরিবেশ বজায় থাকবে সেভাবে ব্যবহার করতে হবে।
দুপুরে টাঙ্গাইলে ‘পুলিশ অফিসার্স মেস’ উদ্বোধন করেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আহাদুজ্জামান মিয়া, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা প্রমুখ।
আইজিপি গোপালপুর সার্কেল অফিস, সখিপুর এসআই কোয়ার্টার, মির্জাপুর এসআই কোয়ার্টার, পুলিশ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার উদ্বোধন এবং পুলিশ লাইন্স হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্স ডরমেটরি, সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।