তারা ধান ও গমে ক্ষতিকর ক্যাডমিয়াম দূরীকরণের জন্য পৃথক গবেষণা করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
দুইটি গবেষণায় প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আহমদ হুমায়ন কবির।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশে শিল্প কারখানার সংখ্যা বাড়ার ফলে চাষযোগ্য জমিতে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। মাটিতে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ধান, গমসহ বিভিন্ন শস্যেও সেটার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
“এসব শস্য খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে।
“তাই ক্যাডমিয়ার সহ্য করতে পারে এমন একটি ধানের জাত খুঁজছিলাম। আমরা ৩০ জাতের ধানের ওপর গবেষণা করে দেখেছি ‘সোনার বাংলা’ জাতের ধানে ক্যাডমিয়াম সহ্য করার সক্ষমতা সর্বাধিক। এই জাতের ধান ক্যাডমিয়াম শোষণ করতে পারে।”
দলের পিএইচডি গবেষক আজিজুল বারী ‘সোনার বাংলা’ ধানের জাতে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাডমিয়াম সহিষ্ণুতার সঙ্গে সম্পর্কিত চারটি জিনের নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্য করেছেন, বলেন হুমায়ন।
তিনি গমে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে একটি গবেষণা দলেরও প্রধান ছিলেন।
হুমায়ন বলেন, “আমাদের আরেকটি গবেষণা ছিল গমের ওপর। পদার্থবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে গমের বীজে প্লাজমা প্রয়োগ করে কীভাবে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা যায় তা বের করতে সক্ষম হয়েছি।”
প্লাজমা পদ্ধতিতে ক্যাডমিয়াম হ্রাস করার বিষয়টি বিশ্বে প্রথম দাবি করে তিনি বলেন, এর আগে প্লাজমা পদ্ধতি ব্যবহার করে শস্যের গ্রোথ বাড়ানোর একটি গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এই পদ্ধতি এটিই বিশ্বে প্রথম।
যেসব অঞ্চলের মাটিতে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বেশি, সেখানে সোনার বাংলা জাতের ধান ও গমের বীজে প্লাজমা প্রয়োগ করে চাষ করলে শস্যে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ কমে যাবে। এতে মানুষের ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগ কমে যাবে বলে তার দাবি।
দুইটি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষকের পাশাপাশি তিন জন থিসিস শিক্ষার্থীও ছিলেন বলে জানান এই শিক্ষক।