বৃহস্পতিবার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকা থেকে রেজাউল ইসলামকে (৩৫) পুলিশ আটক করেছে।
রেজাউল বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বুড়িমারীর সিরাজ হোসেনের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার ছড়াকান্দা গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সন্ধ্যায় ওই নারী বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় রেজাউলসহ চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি মনছুর আলী বলেন, তিনদিন আগে ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্যে শেরপুর থেকে পাটগ্রামের মেয়েটি বুড়িমারী স্থলবন্দরে আসেন। সেখানে দেখা হয় রেজাউলের সঙ্গে।
“এরপর তাকে কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার নাম করে সেখানকার যশোদা বাস কাউন্টারে নিয়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। ওই রাতেই সেখানেই তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে রেজাউল ইসলাম, তার সহযোগী নুরুন্নবী (২৮), আনছারুল ইসলাম ওরফে ভোম্বল (৩০) ও নজরুল ইসলাম (৪০)।”
ওসি বলেন, এভাবে টানা দুইদিন ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে এবং রেজাউল ইসলামকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।
আটক রেজাউলসহ চারজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নাজমুল হুদা রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রেজাউলকে আটকের বিষয়টি আমি শুনেছি। যদি সে দোষী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”