রোববার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এই বিএনপি কর্মীর আইনজীবী শহিদুল্লাহ জাহাঙ্গির বলেন, দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গিতে দুপক্ষের কথা কাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ বেপারী (৪০) নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহরাব বেপারী বাদী হয়ে ৩৮ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৩৭ নম্বর আসামি হলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।
নায়াবের আইনজীবী শহিদুল্লাহ জাহাঙ্গির জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন নায়াব।
“ওই জামিনের মেয়াদ শেষে রোববার জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।”
অ্যাডভোকেট শহিদুল্লাহ বলেন, তারা ২০ জন আইনজীবী চৌধুরী নায়াব ইউসুফের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি জাহিদ বেপারী বলেন, এজাহার অনুযায়ী তিনি সরাসরি এই মামলায় সম্পৃক্ত না হলেও তার হুকুমেই এই ঘটনা ঘটে। উচিত ছিল তাকে প্রধান আসামি করা।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, লক্ষন সাহা প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ছাড়াও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েসসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।