মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল থেকে তাদের ধরা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম।
আটকরা হলেন ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহাঞ্জি গ্রামের সামছুল হকের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রৌশনপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. আনারুল (৩২) ও নারায়নগঞ্জের বন্দর উপজেলার কেওডালা গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০)।
শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল রেঙ্গুনি সুইটস এন্ড বিরিয়ানি হাউস এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
“চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ-৩৪-৬২৫২) গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা সেটি থামানোর সংকেত দেন। চালক প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আটক করেন।”
পরে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে ১৯ হাজার ৬৩০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৯৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আসামি, উদ্ধারকৃত মালামাল ও জব্দকৃত প্রাইভেটকার ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে র্যাব জানিয়েছে।