বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আএমও) মো. মশিউর রহমান জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে ১৫৪ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে।
“আর গত এক সপ্তাহে আট শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই ঠাণ্ডায় আক্রান্ত। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা ভাল সেবাটাই দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওষুধেরও কোনো সংকট নেই। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।”
ঠাণ্ডাজনিত এই রোগে ভয়ের কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ভয় না পেয়ে বরং সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে। ঠাণ্ডামুক্ত থাকতে হবে।
ওই হাসপাতালে গিয়ে বহু রোগীকে শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-কাশিতে ভুগতে দেখা গেছে। অনেক হাসপাতালে এসে সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এখানে চিকিৎসার জন্য আট মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে এসেছেন সদর উপজেলার ষাট গম্বুজ ইউনিয়নের শ্রীঘাট গ্রামের শিউলী বেগম।
তিনি বলেন, শীতে ঠাণ্ডা লেগে তার ছেলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে এনেছেন। সে এখন সুস্থ রয়েছে।
সদর উপজেলার পাঁচ মাস বয়সী আরেক শিশুকে ভর্তি করিয়েছেন মা রহিমা বেগম।
তিনি বলেন, তার মেয়ের সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। তিন দিনে না কমায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।