বাঘাইছড়ি থানার ওসি আমির হোসেন জানান, বুধবার ঈদুল আজহার রাত ১০টার দিকে বঙ্গলতলি ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে মিশন চাকমাকে (৩২) হত্যা করা হয়।
খাগড়াছড়ি শহরে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতিসহ সাতজন নিহত হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় রাঙামাটিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে।
ওসি আমির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুসারে নিহত মিশন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সোর্স হিসেবে কাজ করতেন এবং তাকে যারা হত্যা করেছে তারা পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র ক্যাডার।
এই ব্যাপারে নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুসারেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইউপিডিএফের উদয় বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে তাদের এ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
“প্রথমে মিশনকে লাঠি দিয়ে ব্যাপকভাবে আঘাত করা হয়। পরে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।”
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের মুখপাত্র নিরন চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ হতে পারে।”
গত শনিবার (১৮ অগাস্ট) আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর পাড়ায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতিসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন; আহত হন আরও তিন জন।
দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে শহরের পেরাছড়া এলাকায় মিছিল বের করলে সেখানে আবার হামলা হয়। সেখানে মারা যান একজন।