টিকেটের জন্য

অসুস্থ ছেলের জন্য ট্রেনের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসন চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন নীলফামারীর এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

বিজয় চক্রবর্তী কাজল নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2018, 12:15 PM
Updated : 15 August 2018, 12:16 PM

আবেদনের পর জেলা প্রশাসক এনডিসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এনডিসি স্টেশন মাস্টারকে বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনুরোধ করেছেন।

তবু টিকেট মেলেনি।

রেলওয়ের নীলফামারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুর রহমান বলেন, জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মো. আজিজুল হক এই আবেদন করেন।

“তার ওপর জনপ্রতিনিধির সুপারিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পেয়েছি। কিন্তু নীলফামারী স্টেশনের জন্য বরাদ্দ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আসন মাত্র পাঁচটি চেয়ার ও দুটি বাথ। এগুলো ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বুকিং দিয়ে রেখেছেন।”

নীলফামারী-ঢাকা রুটে নীলসাগর নামে একটিমাত্র ট্রেনে এসি কোচ আছে। এ অবস্থায় আজিজুলকে অন্য কোনো স্টেশন থেকে একটি টিকেট করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

আজিজুল বলেন, তার ছেলে অসুস্থ। তাকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য একটি টিকেট চেয়ে অনেক ধর্ণা দেওয়ার পরও কাজ হয়নি। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।

আজিজুল তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, তার ছোট ছেলে মো. জানিবুল হক টাঙ্গাইলে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরত। তিনি এক বছর ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন। ঢাকার একজন চিকিৎসক তাকে দেখছেন।

“আগামী ২৮ অগাস্ট তার চিকিৎসার দিন ঠিক করা আছে। এর আগে বাড়ি থেকে ঢাকায় নিরাপদ ভ্রমণের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একটি আসন প্রয়োজন।”

তার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন লিখেছেন, “সৈয়দপুরের ইউএনও এবং এনডিসি ব্যবস্থা নিন।”

এমন নির্দেশ পেয়ে নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট (এনডিসি) শুভাশীষ চাকমা স্টেশন মাস্টারকে নির্দেশ দিয়ে লিখেছেন, “স্টেশন মাস্টার বরাদ্দ দিন।”

আর ওই আবেদনে সুপারিশ করেছেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান। তিনি লিখেছেন, “বিষয়টি সদয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”

ঈদের পরে হওয়ায় সংকট বেশি বলে জানান স্টেশন মাস্টার ওবায়দুর রহমান।

তিনি বলেন, নীলফামারী স্টেশনের জন্য ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তঃনগর ট্রেনে সাধারণ আসন ৫৯টি, এসি চেয়ার পাঁচটি, এসি বাথ দুটি, নন এসি বাথ দুটি; যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

“প্রতিবছর ঈদে একটি অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হয়। এবার তাও থাকছে না। এ কারণে আরও সংকট দেখা দিয়েছে।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, “আবেদনটি আমার কাছে আসার পর সৈয়দপুরের ইউএনও এবং এনডিসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।”