নড়িয়ায় লঞ্চঘাট ধসে নিখোঁজদের সন্ধান মেলেনি, অভিযান স্থগিত

চারদিনেও সন্ধান মেলেনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সাধুর বাজার লঞ্চঘাট ধসে নিখোঁজ ১০ জনের।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2018, 12:34 PM
Updated : 11 August 2018, 12:34 PM

অভিযানে কাউকে উদ্ধার করতে না পেরে নদীর তীরবর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলে শুক্রবার রাতে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ জানান।

গত ৭ অগাস্ট দুপুরে সাধুর বাজার লঞ্চঘাট ধসে পদ্মা নদীতে পড়লে ১০ জন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দুইটি ট্রলি, একটি মাহেন্দ্র জিপ ও একটি পন্টুন পানিতে তলিয়ে যায়। পরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।

নিখোঁজরা হলেন, পাচুখার কান্দি গ্রামের মোশারফ চোকদার, বাড়ৈ পাড়া গ্রামের জামাল ছৈয়াল, কেদারপুর গ্রামের মজিবর (মুজু) ছৈয়াল, শাহজাহান বেপারী, মোক্তারচর এলাকার রশিদ হাওলাদার, চাকধ গ্রামের নাছির হাওলাদার, নাছির করাতি, পিরোজপুরের আইটেল মোবাইল কোম্পানির এরিয়া সেলস এক্সিকিউটিভ শেখ আলামিন হাসান, অন্ত মকদম ও উত্তর কেদারপুর গ্রামের গুপি দাস।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নিয়াজ আহমেদ বলেন, ট্রলার নিয়ে গত চারদিন সন্ধান চালানো হয়। পরে শুক্রবার রাত থেকে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

“তবে নদী তীরবর্তী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলেছি; কোনো মরদেহ পাওয়া গেলে আমরা দ্রুত তা স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিব।”

তীব্র স্রোতের কারণে নিখোঁজদের আর পাওয়া যাবে না মন্তব্য করে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ.রফিক কাজী বলেন, “গত বছর পদ্মার ভাঙনে তিনটি লঞ্চ ডুবে যারা নিখোঁজ হয়েছিল তাদেরও পাওয়া যায়নি এবারও পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।”