বনায়নের গাছ বিক্রির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজসে সামাজিক বনায়নের গাছ বেচাকেনার অভিযোগ উঠেছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিআবু নাছের মঞ্জু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2018, 05:14 PM
Updated : 27 July 2018, 05:14 PM

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গাছগুলো রোপন করেছে। দরপত্র ছাড়া এগুলো বিক্রি কিংবা ব্যবহার করার ক্ষমতা কারও নেই বলে অভিমত বনবিভাগের।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি চর এলাহী ইউনিয়নের চর মন্ডলিয়া গ্রামে বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের কিছু অংশ ভেঙ্গে খালে বিলীন হয়ে যায়। ২৪ জুলাই উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সড়কের ভাঙ্গন রোধে কাজ করার জন্য স্থানীয় চর এলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এরপর চেয়ারম্যান ওই কাজে ব্যবহারের জন্য তার ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের উপর লাগানো সামাজিক বনায়নের ৪৫টি গাছ কেটে স্তূপ করে রাখেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, “জনস্বার্থে উপকারভোগীদের কাছ থেকে গাছগুলো ক্রয় করে নিয়েছে শ্রমিক সর্দার ইয়াকুব। জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুত ‘প্যালাসাইটিং’ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সময় সল্পতার কারণে দরপত্র নেওয়া সম্ভব হয়নি।”

এ ব্যপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নেপচুন নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গাছগুলো রোপন করে।

“গাছগুলোর উপকারভোগী থাকতে পারে। দরপত্র ছাড়া সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে বিক্রি এবং ব্যবহার করার ক্ষমতা তাদের কারও নেই।”

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কাজ করা হচ্ছে। এখানে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামিরুল ইসলাম বলেন, চর এলাহীতে সামাজিক বনায়নের কাজ কেটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান তিনি। গাছগুলো উপকারভোগীদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান কিনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

“তবে দরপত্র ছাড়া এভাবে গাছ বিক্রি করার সুযোগ নেই। এ ব্যপারে আরও খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”