প্রবীর হত্যার তদন্তে ফাঁস অপহরণের ‘হোতা’

নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পৌনে দুবছর আগের এক অপহরণ ঘটনার কথিত হোতার পরিচয় বের হয়েছে বলছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2018, 04:11 PM
Updated : 16 July 2018, 04:11 PM

গত ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ নিখোঁজ হয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। এই ঘটনায় প্রবীরের বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথ ও তার সহযোগী বাপেন ভৌমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পিন্টুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কয়েকদিন আগে প্রবীরের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, ২১ মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা।

এতদিন এর কোনো কিনারা না হলেও এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে সোমবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন স্বপন কুমার সাহার বড় ভাই অজয় কুমার সাহা।

অজয় সাহার মামলার চার আসামি হলেন পিন্টু দেবনাথ, বাপেন ভৌমিক, পিন্টুর বান্ধবী রত্মা রাণী চক্রবর্তী ও সহযোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার নূরে আলম বলেন, প্রবীর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ বাপেন ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে নিখোঁজ কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রত্মা চক্রবর্তী ব্যবহার করছেন। পরে ওই ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ রত্মা চক্রবর্তী ও সহযোগী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে।

নূরে আলমেআরও বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তরকৃত রত্না রানী চক্রবর্তী ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আশেক ইমামের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়; শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

স্বপন সাহা নিখোঁজ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর নগরীর নিতাইগঞ্জের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মৃত সনাতন চন্দ্র সাহার ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টুর সহযোগী বাপেন ভৌমিক বলেছেন-স্বপনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন পিন্টুর বান্ধবী রত্না রাণী চক্রবর্তী। পরে ডিবি পুলিশ রত্মারক গ্রেপ্তার করলে তিনি জানান স্বপনের ফোন তাকে পিন্টু দিয়েছেন এবং গত ২৭ অক্টোবর রাতে পিন্টু তার বাসায় স্বপনকে ডেকে নিয়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। পরে স্বপনের লাশ খণ্ড খণ্ড করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়েছেন।

স্বপন, প্রবীর ও পিন্টু দেবনাথ বন্ধু ছিল বলেও রত্মা চক্রবর্তী জানান, বলেন নূরে আলম।