পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রামেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ জানান, কুলাউড়ার শরীফপুরে মনু নদের পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর এবং কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“গত দুদিনে পানি বেড়েছে ১১ ফুট। আরও ২/৩ ফুট পানি বেড়ে গেলে বাঁধের উপর দিয়েই গ্রামে পানি প্রবেশ করবে।”
এদিকে ঢলের তোড়ে চাতলাপুর এলাকায় কুলাউড়ার মনু সেতু সংলগ্ন প্রতিরক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নওরোজ মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে কমলগঞ্জ করিমপুর গ্রাম এলাকায় পুরাতন প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে এবং বিকাল সাড়ে ৪টায় কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বাদে করিমপুর গ্রামে ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জনপদে ও ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করছে।
“যত সময় যাচ্ছে দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে এ দুই এলাকার কয়েকশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের আরও ৯টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জানান, ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও বাঁধ ভেঙ্গে মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন সতর্কতার সাথে নজরদারি করছে।