আবার মায়ার বিরিয়ানি, এবার অসুস্থ দেড় শ

আগামী সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভিন তালুকদার মায়ার আরেক কর্মিসভার বিরিয়ানি খেয়ে এবার দেড় শ লোক অসুস্থ হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2018, 09:40 AM
Updated : 17 May 2018, 10:02 AM

বুধবার বিকালে কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে কর্মিসভায় দেওয়া ওই বিরিয়ানি খেয়ে মায়া নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকালে মহেশপুর হাইস্কুল মাঠে কর্মিসভা শেষে দেওয়া বিরিয়ানি খেয়ে অর্ধশতাধিক লোক হাসপাতালে যায়।

কোটচাঁদপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন বলেন,  পেটে ব্যথা, বমি আর পাতলা পায়খানার মত সমস্যা নিয়ে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ১৪০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন আরও পাঁচজন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, “তারা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংরক্ষিত আসনের সাবেক সাংসদ মায়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তিনি গণসংযোগ করছেন। এর অংশ হিসেবেই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে কর্মিসভা ও জনসভা করছেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডের কর্মিসভা শেষে পাঁচ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়েছিল।

“আমার মহেশপুরের বাসায় স্থানীয় বাবুর্চি দিয়ে ওই বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছে। এটা খেয়ে আমি নিজেও অসুস্থ হয়েছি।”

বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ অতিরিক্ত রোগীর ভিড় বেড়ে যাওয়ায় নার্স-চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন।  বিছানার অভাবে অনেক রোগীদের রাখা হয়েছে মেঝে ও সিঁড়িতে।

মামুনশিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, সভা শেষে তিনি এক প্যাকেট বিরিয়ানি পান। খাওয়ার পর রাত ৮টার দিকে পেটব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

গোবিন্দপুর গ্রামের শামসুল ইসলাম দুই প্যাকেট বিরিয়ানি পেয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, বাড়ি ফিরে স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচজন মিলে সেটা খান। এরপর রাত ৩টার দিকে বমি ও পায়খানা শুরু হয় সবার।

জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পরপর দুটি জনসভার বিরিয়ানিতে কেন সমস্যা তৈরি হল তা খতিয়ে দেখতে তারা একটি তদন্ত কমিটি করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাসকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের এ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।