বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরে সাজায় রায়ের পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
নির্জন কারাগারে তাকে রাখার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটানো হচ্ছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ; অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, কারাগারে তাকে প্রাপ্য সুবিধার বেশিই দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের এক সময়ের নেতা কাদের সিদ্দিকী বলেন, “জিয়া অরফানেজে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেন নাই, কোনো টাকা লুটপাটও হয় নাই। টাকা আছে ব্যাংকে।
“খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তাকে যেন সম্মানের সাথে রাখা হয়।”
দুই দশক আগে আওয়ামী লীগ ছেড়ে আলাদা দল গঠনকারী কাদের সিদ্দিকীকে পরে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করতেও দেখা যায়।
সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, “জিয়াউর রহমানকে যখন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকার করা হয় না, তখন কষ্ট লাগে, বঙ্গবন্ধুকে যখন অপমান করা হয় তখন সহ্য করা যায় না, শেখ হাসিনাকে যখন অপমান করা হয় তখন মেনে নেওয়া যায় না।
“আবার শেখ হাসিনা কোনো অন্যায় করলে সেটাও মেনে নেওয়া যায় না।”
জেলা বারের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, সিনিয়র আইনজীবী এ ই এম খলিলুর রহমান।
পরে রামদেও বাজলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণফোরাম আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেন কামাল হোসেন ও কাদের সিদ্দিকী।