এ হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সামাবেশে এ দাবি জানান উপাচার্য।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, “জাফর ইকবাল বাংলাদেশের বিবেক। তার ওপর হামলা আমরা সহ্য করব না। এ মামলার রায়ের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষাও করব না। এর বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইবুনালে নিষ্পত্তি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ১১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হাসানুজ্জামানও একই দাবি করেন।
তিনি বলেন, “শুধু আটক একজনের নয়, পুরো চক্রকে বের করে তাদের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি আমরা।”
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক সমিতি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া ৭ ও ৮ মার্চ কালো ব্যাজ ধারণ করবে।
শিক্ষক সমিতির সমাবেশে উপাচার্যের সঙ্গে কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন।
জাফর ইকবালের ওপর এ হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
সিএসই বিভাগের অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম বলেন, “স্যার আমাদের তিন বিভাগের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা স্যারকে যতটা চিনি অন্যরা ততটা চেনন না। স্যারের ওপর হামলা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।”
সমাবেশ শেষে তারা জাফর ইকবালের ওপর হামলার দ্রুত বিচার চেয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বরাবর জমা দেন।
গত শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে হামালার শিকার হন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। হামলার পরপরই ফরজুল নামে এক তরুণকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষক ও শিক্ষারর্থীরা।