গত রোববার ব্যাংকটির ওই শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর রহমান উধাও হয়ে যান। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করে নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ দিয়েছে।
এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি এবং তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আমজাদ হোসেন সদর থানায় একটি মামলা দিতে এসেছিলেন। পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় মামলা নেওয়া হয়নি। তাকে বুধবার সকালে আসতে বলা হয়েছিল। তবে সকালে তিনি থানায় আসেননি।
ওসি বলেন, প্রিন্সিপাল অফিসার আমজাদ হোসেনের অভিযোগে ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা তছরুপের ঘটনা বলা হয়েছে। এই হিসাব মাত্র কয়েকটি একাউন্টের। তাই তাকে পূর্ণ হিসাব দিতে বলা হয়েছে।
ওসি বলেন, ব্যাংকের পাঁচ হাজার গ্রাহক, সরকারি আরও টাকা তছরুপ হয়েছে কিনা তার সুনির্দিষ্ট মামলা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
“তছরুপের বিষয়ে শুধু নিখোঁজ হওয়া শাখা ম্যানেজারই নাকি আরও কেউ জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই লেনদেন একবছর যাবত চলছিল, তাই অনেকেই এর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।”
ওসি আরও বলেন, হাটের ইজারাদার আজমল হোসেনের হিসাব থেকে টাকা লেনদেনের গরমিল থাকায় তাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।
তবে রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বলেন, হাটের ইজারাদার আজমল হোসেনকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে।
ওই শাখার নবাগত ম্যানেজার আল আমিন বলেন, শুধু পে-অর্ডারের মাধ্যমে দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা তছরুপের ঘটনা ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
উধাও হওয়া ম্যানেজার জোবায়েনুর রহমান বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়াতাইর গ্রামের মনতেজার রহমানের ছেলে। স্ত্রীসহ তিনি শহরের নামাজগড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
রোববার সকালে তিনি যথারীতি ব্যাংকে আসেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্যাংকের পাশে চা পান করার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।