হত্যাকাণ্ডের সাত বছরের মাথায় রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার মঙ্গলবার এক আসামি উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- পাবনা সদরের গোপালপুর এলাকার গোলাম মোহাম্মদের মেয়ে কুলসুম নাহার বিউটি (৪৬), আতাইকুলার রাণীনগর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৪৭) ও একই গ্রামের মৃত ইয়াসিন মোল্লার ছেলে সোলেমান আলী (৪৫)।
রুহুল আমিন ও সোলেমান বর্তমানে পলাতক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আদালত দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।
মামলার বিররণে জানা যায়, কুলসুম নাহার বিউটি পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া মহল্লায় মোশাররফ হোসেন ওরফে খোকন মৃধার স্ত্রী।
২০১১ সালের ৩০ জুন রাতে কুলসুম নাহার ও তার ‘প্রেমিক’ রুহুল আমিন তার বন্ধু সোলেমান আলী নিয়ে ‘লালন ভক্ত’ মোশাররফকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ গুম করতে গিয়ে প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়েন। তাদের পুলিশে দিয়ে নিহতের ছোট ভাই বাবু মৃধা একটি মামলা করেন।
আইনজীবী এন্তাজুল বলেন, এ মামলায় অভিযোগ গঠনের কিছু দিনে পর জামিনে বের হয় পালিয়ে যান কুলসুম নাহার বিউটি ছাড়া অপর দুই আসামি।
“ওই তিন আসামির জবানবন্দি ও ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।”
কুলসুম নাহার এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন বলে তার আইনজীবী মাহমুদুর রহমান রুমন জানান।