শুক্রবার রাতে এ কথা জানিয়েছেন মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম হোসেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিমের ১২ বছরের মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতে দেড় বছর বয়সে একটি ছোট গোটা দেখা দেয়। পরে তা বাড়তে থাকে।
হাতে বিকট আকৃতির ফোলা নিয়ে গত ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয় মুক্তামনি। গত ৮ অক্টোবর মুক্তামনির হাতে চতুর্থবার অস্ত্রোপচার হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয়, ২৯ অগাস্ট দ্বিতীয় এবং ১২ অগাস্ট প্রথম অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার।
ইব্রাহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকটমকে বলেন, “ঢাকায় তো অনেক দিন হল, তার উপর মেয়েটি বাড়ি যাওয়ার জন্য খুব কান্নাকাটি করছে । তাই ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি এসেছি।”
“মুক্তা এখন খেলবে। সে পড়বে । আর গান গাইবে প্রাণ খুলে। তবে আর কিছুদিন পর। কারণ মুক্তা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয় “
কোনো ধরনের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
সুস্থ্ না হলেও মুক্তামনির বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় তাকে অনুমতি দেওয়া হছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
কীভাবে থাকবে হবে মুক্তামনি সেই নির্দেশনা তার স্বজনকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।