সুস্থ্ না হলেও মুক্তামনির বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় চিকিৎসকরা তাকে অনুমতি দিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুক্তামনিকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ গ্রামে থাকতে সময় দেওয়া হয়েছে।
“তার ছয়টি অপারেশন করা হয়েছে। আরও অপারেশন লাগবে। কিন্তু পরিবার ও মুক্তামনি বাড়ি যেতে চাচ্ছে, তাই যেতে দেওয়া।”
কীভাবে থাকবে মুক্তামনি সেই নির্দেশনা তার স্বজনকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
মুক্তামনির বাবা মো. ইব্রাহিম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকটমকে বলেন, “ছয়-সাত মাস হল ঢাকায়, বাড়ি যাওয়ার জন্য খুব কান্নাকাটি করছে সে। তাই ডাক্তারকে বলে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছি।”
কোনো ধরনের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় নিয়ে আসার পরামর্শ চিকিৎসকরা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
রিবল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার হয় এ বছরের ১২ অগাস্ট। ২০ সদস্যের বেশি চিকিৎসকদের একটি দল জটিল এই অস্ত্রোপচারে যুক্ত ছিলেন। পরে আরও পাঁচটি অস্ত্রোপচার করা হয় তার।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহিমের ১২ বছরের মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতে দেড় বছর বয়সে একটি ছোট গোটা দেখা দেয়। পরে তা বাড়তে থাকে।
বছর চারেক আগে এমন পর্যায় যায় যে তার স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে। আক্রান্ত ডান হাতটি তার দেহের চেয়ে ভারী হয়ে উঠেছে, যন্ত্রণায় সব সময় অস্থির থাকে সে।
মুক্তামনির খবর গণমাধ্যমে আসার পর তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় সরকার, তাকে আনা হয় ঢাকায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মূলত রক্তনালীতে টিউমার হওয়ার কারণে হাত ফুলে যায় মুক্তামনির।