মানিকগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ১

মানিকগঞ্জে নাগ জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2017, 11:08 AM
Updated : 16 Nov 2017, 11:11 AM

গ্রেপ্তার সোহেল মোল্লার (৩০) বাড়ি পিরোপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামে।

সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বুধবার রাতে আটক সোহেলের কাছ থেকে ছয় রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলভার, দুটি চাপাতি ও ১১টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হাইয়েস গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

সোহেলকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে ডাকাতির ঘটনায় নাগ জুয়েলার্সের মালিক তপন নাগ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন বলে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সাত-আটজন ‘ডাকাত’ পিস্তল ও  চাপাতি নিয়ে জেলা শহরের স্বর্ণালংকারপট্টি এলাকায় ‘নাগ জুয়েলার্সে’ হানা দেয়।  তারা দোকানের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৬০০ থেকে ৭০০ ভরি স্বর্ণালংকার একটি বস্তায় ভরে। পরে চার-পাঁচটি হাতবোমা ফাটিয়ে একটি হাইয়েস গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।”

“খবর পেয়ে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ ডাকাতদের গাড়িটির গতিরোধ করলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ও গুলি ছোড়ে।

“এতে সাটুরিয়া থানার এসআই আসলাম হোসেন ও এসআই মো.ওহিদুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হন। পরে এসআই আসলামের মোটরসাইকেল নিয়ে তিন `ডাকাত’ পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশ সোহেলকে আটক ও গাড়িটি উদ্ধার করে।”

পরে আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও সোহেলকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে সাটুরিয়ার তিল্লী এলাকা থেকে লুট করা স্বর্ণালংকারের ৩১টি বাক্স, প্রায় ১২ আনা স্বর্ণালংকার এবং ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে একটি পুলিশের মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।

“প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, ডাকাতির ঘটনার আগে ডাকাত সদস্যরা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে।” বলেন তিনি।  

তিনি বলেন, “লুট করা ওই দোকানের সিসি ক্যামেরা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার ও লুট করা স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ।”