নেত্রকোণার পান্না ধর্ষণ মামলার ১ আসামি গ্রেপ্তার

নেত্রকোণা সদরে কিশোরী পান্না আক্তারকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় তিন আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2017, 11:36 AM
Updated : 12 Sept 2017, 11:36 AM

এদিকে, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে পান্নার লাশ তোলার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নেত্রকোণা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, সোমবার রাতে বিরিশিরি এলাকা থেকে মামুন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামুন নেত্রকোণা সদরের ঠাকুরাকোণা এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন ঠাকুরাকোণার কাজল সরকারের ছেলে অপু চন্দ্র সরকার (২০) ও মৃত চান মিয়ার ছেলে সুলতান (২২)।

অপু জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক উপ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ নূর এ আলম জানান, রাত দেড়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মামুনকে দুর্গাপুরের বিরিশিরি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি জানান, মামুন ওই এলাকার আকঞ্জিপাড়ায় তার ভগ্নিপতি আসাদের ভাড়া করা বাসায় পালিয়েছিলেন। তাকে আদালতে সোপর্দ  করা হবে।

অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। 

পরিদর্শক নূর এ আলম আরও জানান, কিশোরী পান্নার মা আলপনা আক্তার বাদী হয়ে দায়ের মামলাটিতে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথমে লাশ উদ্ধারের পর হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চেয়ে লাশটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন এখনও আসেনি।

“তবে ধর্ষণ হয়েছে কি না তা জানতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর (রোববার) সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোনা গ্রামের তিন আসামি মেয়েটিকে পাশের মাছের খামারে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা কৌশলে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তখন মেয়েকে ‘বিধ্বস্ত’ দেখাচ্ছিল।

অভিযোগ আরও বলা হয়, ঘরে এসে মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে।

পরদিন (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।